শুক্রবার, ১১ Jul ২০২৫, ০২:০২ পূর্বাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদেশে কৃষকের চলমান সংকট দুরিকরনে বর্তমান সরকার “কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও” প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় নানামুখী কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। পটুয়াখালীতে ঋণের বোঝা মাঁথায় নিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ কৃষকরা আমন মৌসুম শেষে রবি ফসল বোরো ধান, তরমুজ, আলু, খেশারীডাল,মুগডাল, মশুরডাল, ফেলনডাল,বাদাম ও মরিচসহ নানা ফসলের আবাদ করে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টায় অব্যাহত রয়েছেন। এ সব চাষাবাদে বিভিন্ন ধরণের সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে চড়া মূল্যে বিক্রী করে যাচ্ছেন। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তায় বেশী নিচ্ছেন সর্বনিম্ন ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ শত টাকা।
সবচেয়ে বেশী দামে বিক্রি করছেন টিএসপি সার যার প্রতি বস্তা সরকার নিধার্রিত মূল্য ১১ শত টাকা বিক্রি করছেন ১৩ শত ৫০ থেকে ১৫ শত টাকা ও ড্যাপ সার যার প্রতি বস্তা সরকার নিধার্রিত মূল্য ৮ শত টাকা বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫০ থেকে ১১ শত ৫০ টাকা। এছাড়া ইউরিয়া সার যার প্রতি বস্তা সরকার নিধার্রিত মূল্য ৮ শত টাকা বিক্রি করে যাচ্ছেন ৮ শত ৫০ টাকা। নিজের জনপ্রনিধিত্বের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় কাউকেই তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন তার রমরমা ব্যবসা ও তার সাথে সরকারি সারের ব্যবসা করে হয়ে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে দেখাযায়, সাধারণ কৃষকরা সারের সরকার নিধার্রিত মূল্য সম্পর্কে অতটা সচেতন না হওয়ায়, বিসিআইসির সার ডিলাররা সুযোগে কৃষক জনগোষ্ঠীকে ঠকিয়ে রাতারাতি অধিক টাকার মালিক হচ্ছে বলে বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানাযায়।
উক্ত বিষয়ে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের বিসিআইসির সার ডিলার ও বর্তমান ইউপি সদস্য মো. নুরুল আমিন এর কাছে জানার জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করে আত্মগোপন করেন।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সারের দাম বেশী নেয়া সম্পর্কে পূর্বে অবগত নই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এবিষয় বিশেষজ্ঞদের ধারণা অচিরেই যেন কৃষকরা এ সব দূর্ণীতি পরায়ন অসাধু সার ডিলার এর কবল থেকে মুক্ত হয়ে সরকার কতৃক নিধার্রিত ন্যায্য মূল্যে কৃষকরা সার ক্রয় করে লাভের মুখ দেখতে পারে সেটাই প্রত্যাশা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে।